শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ৩০ লক্ষ শহীদের স্মরনে ৩০ লক্ষ বৃক্ষরোপন কর্মসূচি আওতায় সারাদেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করলেও কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী কালু ফকির পাড়া আদর্শ বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় পালন করা হয়েছে বড় একটি গাছের কাটা শাখা রোপন করে।এ নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে।বৃক্ষরোপন পরবর্তী শিক্ষকদের হাস্যেজ্বল চেহারায় “মোনাজাত পরিচালনা” তামাশা হিসেবে নিয়েছে লোকজন।

জানা গেছে, ১৮ জুলাই সারাদেশে শহীদদের স্মরনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি ঘোষনা করেন সরকার প্রধান।এ সময় আবেদন পুর্বক উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে চারা সংগ্রহের নির্দেশনা থাকলেও চারার জন্য কোন ধরনের আবেদন করেনি প্রতিষ্ঠান প্রধান মোহাম্মদ নুরুল আলম।এ দিন দায়সারা ভাবে লোক দেখানো একটি গাছের শাখা কেটে রোপন করে।সেটিও রোপন করা হয়েছে মাদ্রাসার খোলা মাঠে সিমেন্ট ধারা ঢালাই করা স্থানে।এদিন কাটা শাখা রোপন পরবর্তী হাস্যেজ্বল মোনাজাতরত কয়েকটি ছবি মাদ্রাসা সুপার নুরুল আলমের পেইজবুক ওয়ালে পোষ্ট করে।সেখানে কয়েকজন ব্যক্তির সমালোচনা করা  কমেন্ট দেখে ৩ দিন পর কাটা শাখাটি তুলে পেলে আমগাছ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এমন ঘটনায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানায়, সরকার প্রধানের নির্দেশ অমান্য এবং চারা রোপনের স্থলে ঢিল রোপন করা সরকারকে বৃদ্ধ আঙ্গুলী দেখার সামিল।

তিনি আরো জানায়, উক্ত প্রতিষ্ঠানে কোনদিন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস গুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেনি।নামে মাত্র কয়েকটি ছবি করে দায়িত্ব শেষ করে। স্থানীয়রা জানায়,উক্ত প্রতিষ্ঠান প্রধান মৌলানা মোহাম্মদ নুরুল আলম যোগদানের পর থেকে স্বাধীনতা বিরোধী গুটি কয়েক শিক্ষকের যোগসাজশে সরকারী নির্দেশ গুলো পালন করে না।বৃক্ষরোপনের নামে ঢিল রোপন সরকারের সাথে চরম বেইমানী ও প্রতারণা বলে মনে করেন অপরাপর শিক্ষকরা।

তারা জানায়, শিক্ষাঙ্গনে যদি এসব নোংরামী পরিবেশ সৃষ্টি করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কি শিখবে? তারা বিষয়টি তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি।

এসব বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার মৌলানা নুরুল আলমের ০১৮৬৬-৪৯৫৪২৫ নাম্বারে একাধিক বার কল করলেও রিসিভ বা করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।